জেলা জজ হবেন ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক

প্রজাস্বত্ব আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “জেলা জজ হবেন অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2022, 01:12 PM
Updated : 11 August 2022, 01:12 PM

জমি নিয়ে বিরোধের মীমাংসায় ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজকে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘দ্য স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০২২’ এর খসড়ায় এ বিধান রেখে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন সরকার প্রধান।

পরে সচিবালয়ে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “আমাদের জমি-জমা আমরা যে ম্যানেজ করি, মিউটেশন বা রেকর্ড কারেকশন করি এটা আমরা করি স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যাক্টে (প্রজাস্বত্ব আইন)।

“এখানে একটি ট্রাইব্যুনাল করার বিধান আছে। এটার আপিল আদালতটা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এ জন্য অনেক মামলা জমে যায়।”

সে কারণে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সেটা হল জেলা পর্যায়ে একজন যুগ্ম-জেলা জজকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকের ক্ষমতা দেওয়া যায়।

“সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ বা ক্ষমতা অর্পণ করা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত ফর্মাল ট্রাইব্যুনাল না হবে।

“তাহলে সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজ বিচারগুলো করতে পারবেন। এটা ছোট একটা অ্যামেন্ডমেন্ট। জেলা জজ হবেন অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের বিচারক।”

তিনি বলেন, “এটা করতে গিয়ে একটি আলোচনা এসেছে যে, ১৪৪ ধারায় ডিস্ট্রিক কালেক্টররা ক্ল্যারিক্যাল মিস্টেকগুলো যাতে কারেকশন করতে পারে। যেমন ব-এ শুন্য-র এর ফোঁটা হয়ত পড়েনি বা আকার পড়ল না।

“এগুলো একটু আলোচনায় এসেছে, বাবার নাম যদি ভুল থাকে বা ছোটখাট ভুল যদি কালেক্টররা কারেকশন করতে পারে তাহলে ট্রাইব্যুনালের মামলা অনেকটা কমে যাবে।”

২০০৪ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন (সংশোধিত) এর ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল এবং ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী দেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠনও করা হয়েছে, যে ট্রাইব্যুনালগুলোর নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারিক কর্মকর্তা। কিন্তু আইনে থাকার পরও ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়নি।

ফলে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়, ডিক্রি এবং আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে হাজার হাজার বিচার প্রার্থী উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন।

২০১৫ সালে এরকম একটি রিট আবেদনের শুনানির সময় উচ্চ আদালত দেখতে পায়, দেশে কোনো ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল নেই। পরে ওই বছর মার্চে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট।

২০২০ সালের অক্টোবরে এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে ৯০ দিনের মধ্যে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

আরও খবর