বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
বিনোদন
 

 স্বতন্ত্র বীর সাভারকার: হিন্দুত্বের জয়গান, জুটল না দর্শক

সংস্কৃতি থাকে মনে। আর পোশাক-আশাক বাহ্যিক। আমরা যেখানে, যে দেশে থাকব সেখানকার মতো পোশাক পরব। কিন্তু সংস্কৃতিকে ছাড়ব না। গোপন আস্তানায় বিপ্লবী বন্ধুদের একথাই বলছেন বিনায়ক দামোদর সাভারকার (রণদীপ হুডা)। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে পড়তে গিয়েছেন। তার আগেই তাঁর মনে অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। দেখা করেছেন লোকমান্য তিলকের সঙ্গেও। অত্যাচারী ইংরেজদের হাত থেকে পরাধীন দেশকে মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর। বিলেতে ইন্ডিয়া হাউসে গিয়ে ওঠেন সাভারকার। সেখানে মাদাম কামারও যাতায়াত রয়েছে। এখান থেকেই দেশকে স্বাধীন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথ তৈরি করতে থাকেন তিনি। ইতিহাসের প্রামাণ্য তথ্য কি আদৌ ধরা পড়ল ছবিতে?
‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকার’ ছবির পরিচালক রণদীপ হুডা। আবার তাঁকেই দেখা গিয়েছে সাভারকারের চরিত্রে। অভিনয়ের জন্য তিনি নিজের একশো শতাংশেরও বেশি দিয়েছেন। সেলুলার জেলে থাকাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখে চোখের পাতা ভিজে আসবে। চুল প্রায় উঠে গিয়েছে, কালো দাঁত, শরীরের পাঁজর পর্যন্ত গোনা যাচ্ছিল। এর লুক তৈরির জন্য রণদীপ ৩৫ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন! লুক, লোকেশন, ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফি দুর্দান্ত। তবে অতিরিক্ত ডিটেলিংয়ের ফলে ছবির দৈর্ঘ্য মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। ফলে প্রেক্ষাগৃহে বসে থাকা সর্বসাকুল্যে পাঁচজন লোকের মধ্যেও গোটা ছবিটি দেখার ইচ্ছা অকালেই নষ্ট হয়েছে। 
গল্পের গতি অত্যন্ত মন্থর। দেশাত্মবোধক ছবি হওয়া সত্বেও কোনও শিহরণ নেই। দ্বিতীয়ার্ধে দর্শকের উৎসাহ প্রায় ছিলই না। হিন্দুত্বের জয়কাহিনির ইতিহাসের অতিরিক্ত প্রয়োগ উৎসাহ হারিয়ে ফেলার আরও এক কারণ। মহাত্মা গান্ধীকেও দেশের ভিলেন রূপে প্রতিস্থাপন করার কু-প্রচেষ্টা বড় চোখে লাগে। দেখানো হয়েছে, জুলুদের সঙ্গে লড়াইয়ে গান্ধীজি দাঁড়িয়েছিলেন ইংরেজদের পক্ষে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও পূর্ণ স্বরাজের দাবিতে ব্রিটিশদের সাহায্য করার পরামর্শ দিয়েছিলেন গান্ধীজি! দেশভাগের জন্য গান্ধী এবং নেহরুকে লাগাতার দায়ী করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হিন্দু মহাসভা দলের অস্তিত্ব বিলোপ এবং কংগ্রেসের একচ্ছত্র ক্ষমতার ব্যাপারটিও চোখে লাগার মতোই। ইংরেজদের মুচলেকা দিয়ে সেলুলার জেল থেকে সাভারকারের মুক্তি। দেশে ফিরে কার্যত রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে নেহরুর পুলিসের হাতে তাঁর গ্রেপ্তারির বিষয়টিও ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। 
এই ছবির ছত্রে ছত্রে হিন্দুত্ব, একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ভিলেন করার দৃশ্য। ফলে দর্শকদের একাংশের মনে হতেই পারে এটি বর্তমান কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রোপোগান্ডা। কংগ্রেস এবং গান্ধীজী সম্পর্কে দেশবাসীর মনে বিরূপ ধারণা তৈরি করা যার উদ্দেশ্য। তবে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের সমাগম ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি। 
শৌণক সুর

27th     March,   2024
কলকাতা
 
রাজ্য
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ