সাজান
Amit Hasan-এর প্রোফাইল ফটো

মানবিক মূল্যবোধ-

মানবিক মূল্যবােধ হচ্ছে শৃঙ্খল ও ন্যায় সমাজ গঠনের প্রথম শর্ত। মানবিক মূল্যবােধ বলতে কতগুলাে মনােভাবের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাসকে বুঝায়। যে চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মানুষের মানবিক আচরণ, ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে তাই মানবিক মূল্যবোধ। ন্যায়পরায়ণতা, সততা ও শিষ্টাচার মানবিক মূল্যবােধের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বড়দের সম্মান করা, আর্তের সেবা করা, উত্তম ব্যবহার, সহনশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা, সততা প্রভৃতি মানবিক মূল্যবােধের উদাহরণ। মানবিক মূল্যবােধ ব্যক্তির মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। আর এভাবে ব্যক্তিসত্তা বিকাশ করে এটি সুশাসনের পথকে প্রশস্ত করে এবং সামাজিক অবক্ষয়ের অবসান ঘটায়। পরিবার, বিদ্যালয়, সম্প্রদায়, খেলার সাথী, সমাজ ও প্রথা থেকে একজন শিশু মূল্যবােধ লাভ করে। এ নিয়ামকগুলাে মানবিক মূল্যবােধ গঠনেরও প্রধান মানদন্ড। মূলত যেসব বিষয় একমাত্র মানুষের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি হওয়ার যােগ্য তাই মানবিক মূল্যবােধ। এ মানবিক মূল্যবোধ লালিত করার ফলে সময়ের সাথে আদর্শিক, ধর্মীয় বা পবিত্র বিষয়গুলাে জাগ্রত হয়। আবেগি ও আদর্শগত ঐক্যের ধারণার মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিকভাবে একজন মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবােধ ফুটে ওঠে, যা রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারকে সুশৃঙ্খল ও উন্নত করে।

কয়েকটি মানবিক মূল্যবোধ হলো;

১.ভালোবাসা

২. বন্ধুত্ব

৩. দয়তা

৪.বিশ্বাস

৫.সম্মান

৬. সততা

৭. ন্যায়বিচার

৮.দায়িত্ব

৯.সাহস

১০.শ্রদ্ধা