Thread Rating:
  • 75 Vote(s) - 3.33 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
WRITER'S SPECIAL সৃষ্টি (সমাপ্ত)
I have read it before , heart touching  Heart Heart
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
Do not mention / post any under age /rape content. If found Please use REPORT button.
মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি গল্প।

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(10-08-2023, 10:49 PM)Chandan Wrote: I have read it before , heart touching  Heart Heart

thanks   thanks  

(11-08-2023, 09:34 AM)Sanjay Sen Wrote:
মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত একটি গল্প।


thanks   thanks  
Like Reply
দারুন লাগলো  clps

[Image: Images-2-2-1.jpg]

[+] 1 user Likes Somnaath's post
Like Reply
(11-08-2023, 06:09 PM)Somnaath Wrote:
দারুন লাগলো  clps

thanks   thanks 
Like Reply
[Image: Polish-20230815-093551227.jpg]

|| রক্তের স্বাদ ||

লেখা এবং প্রচ্ছদঃ- বুম্বা

ন্ধ্যে নামলে এখনো হ্যালাপুকুরের পেছনের পরিত্যক্ত গ্লাস ফ্যাক্টরির পাশের রাস্তাটা ব্যবহার করতে ভয় পায় রুপাইনগরের মেয়েরা। একটু ঘুরপথ হলেও বাজারের মধ্যে দিয়েই আসা-যাওয়া করে তারা। তাতে সময় হয়তো একটু বেশি যায় ঠিকই, কিন্তু নিরাপদে যাতায়াতটা তো করা যায়!

বছর দুই আগের কথা। আশ্বিন মাসের সন্ধ্যে, দক্ষিণদিক থেকে একটা মৃদুমন্দ শীতল বাতাস বইছিলো। ক'দিন পরেই শারদোৎসব, পুজোর আগে হরেন মাস্টারের সেদিন শেষ পড়ানো। নতুনপাড়ার বাসিন্দা সাদেক মিঞার মেয়ে নাদিয়া দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো। এমনিতে মাস্টারমশাই বিকেল পাঁচটা থেকেই পড়ান। সেদিন একটা বিশেষ কাজে সদরে গিয়েছিলেন, তাই সন্ধে ছ'টা থেকে পড়ানোর সময় দিয়েছিলেন তিনি।

নাদিয়া গ্লাস ফ্যাক্টরির পাশের রাস্তাটা দিয়ে পড়তে গিয়েছিলো, অন্যদিনের মতোই। আটটার মধ্যেই বাড়িতে চলে আসার কথা। সাড়ে আটটা বাজলো, তারপর নটা, তারপর সাড়ে নটা .. ঘড়ির কাঁটা যত এগোচ্ছিল দুশ্চিন্তা ততই গ্রাস করছিল সাদেক মিঞা আর তার বউ সালমাকে। হরেন মাস্টারের বাড়িতে ফোন করা হলো। তিনি জানালেন, পৌনে আটটার সময় তিনি ছেড়ে দিয়েছেন সবাইকে। নাদিয়াও পড়তে এসেছিলো, সেও বাকি বান্ধবীদের সঙ্গেই চলে গিয়েছে।

এই কথা শুনে উদ্ভ্রান্তের মতো সাদেক মিঞা আর তার স্ত্রী বেরোলো বাড়ি থেকে, তাদের মেয়েকে খুঁজতে। পাড়ার লোকজন জুটিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরিতে আগাছায়া ভরা গুড'স শেডের নিচে কাদামাখা অবস্থায় তাদের মেয়ের নিথর দেহ খুঁজে পেয়েছিলো তারা। সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় থাকা দেহটির ডানদিকের স্তনবৃন্তটা কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছিলো, তলপেটের নিচের অংশে কোনো তীক্ষ্ণ শলাকা দিয়ে ফুঁটো করে দেওয়া হয়েছিলো পৈশাচিক উল্লাসে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা গেলো, অষ্টাদশী নাদিয়াকে প্রথমে গণ;., করা হয় এবং তার সঙ্গে চালানো হয় বীভৎস শারীরিক অত্যাচার। যার চিহ্ন নাদিয়ার শরীরের প্রত্যেকটি জায়গায় পাওয়া গেছিলো। এরপর তাকে গলা টিপে হত্যা করে শেডের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। নিজের মেয়েকে ওই অবস্থায় দেখার পর শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলো সালমা। তারপর থেকে তাকে আর কেউ কথা বলতে শোনেনি।

এলাকায় কয়েকদিন ধরেই কিছু অপরিচিত ব্যক্তির আনাগোনা বেড়েছিলো। তাদের আড্ডার ঠেক হয়েছিলো ওই পরিতক্ত গ্লাস ফ্যাক্টরিটা। সেখানে মদের সঙ্গে, জুয়া খেলা এবং অন্যান্য কুকর্মও চলতো। সাদেক মিঞা অভিযোগ করেছিলো, তাদের এলাকারই এক বাসিন্দা সনাতন বারুই নামের এক বছর পঁচিশের যুবক তার মেয়েকে ক'দিন ধরেই ভীষণ উত্ত্যক্ত করছিলো।

নাদিয়ার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সাদেক মিঞার বলা কথাগুলো সত্যি এবং ওই পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরিতেও আনাগোনা ছিলো সনাতনের। ঘটনার পরেরদিন রাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে সনাতনকে। তার বিরুদ্ধে নাদিয়াকে ;., এবং খুনের মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপে ছাড়া পেয়ে যায় সনাতন। তারপর থেকেই পরিত্যক্ত গ্লাস ফ্যাক্টরি এবং তার আশেপাশের এলাকায় দুষ্কৃতিদের দৌরাত্ম অতিমাত্রায় বেড়ে যায়।

★★★★

নতুনপাড়ায় নতুন এসেছে শ্যামল বাবুরা। জ্যোৎস্না দেবী এবং শ্যামল বাবুর বেশি বয়সের সন্তান মিষ্টু। হ্যাঁ, এটাই তার ডাকনাম আবার এটাই তার ভালোনাম। যেমন গুণে লক্ষ্মী তেমন রূপে সরস্বতী। না না উল্টো বলে ফেললাম, তাই না? আসলে মেয়েটা মারা যাওয়ার পর থেকেই কিরকম যেন হয়ে গেছে সাদেক মিঞা। কাজে মন বসে না, এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায় উদ্ভ্রান্তের মতো। তবে একজনকে দেখলে তার মনে শান্তি নেমে আসে। শ্যামল বাবুর মেয়েটার মধ্যে যেন নিজের মেয়েকে খুঁজে পায় সে। তাইতো ওকে দেখলেই বলে ফেলে "গুনে লক্ষী আর রুপে সরস্বতী হলো আমার এই মা" ওই সাদেকের কথা শুনেই আমার মুখ দিয়ে উল্টোটা বেরিয়ে গেছে। আসলে রূপে লক্ষী আর গুণে সরস্বতী হলো নতুনপাড়ার মিষ্টু।

শহরের কোনো একটা গার্লস কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হয়েছে মিষ্টু। শুক্রবার কলেজ করে একটা প্রাইভেট টিউশনি পড়ে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে প্রায় ন'টা বেজে যায় তার। বাড়ি থেকে বলাই আছে, যতই সময় লাগুক না কেনো, সে যেনো বাজারের মধ্যে দিয়েই ফেরে, প্রয়োজনে যেন রিকশা করে নেয়!

মিষ্টুর একটা বড় দোষ হলো বাবা-মায়ের হাজার বলা সত্ত্বেও সে কখনো অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কলেজে যায় না। যেতে আসতে যেটুকু খরচ লাগে আর টিফিন খরচা .. এর বাইরে একটা বেশি টাকাও সঙ্গে নেয় না সে। তার মা জ্যোৎস্না দেবী তো সেদিন বলেই দিলেন, "তোর এই বোকামির জন্য একদিন বিশাল বড় বিপদে পড়বি তুই .."

কিন্তু কে শোনে কার কথা! মিষ্টু তার মায়ের কথা এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বার করে দিয়ে কলেজে বেরিয়ে গেলো। ওইদিন শুক্রবার ছিলো। কলেজ থেকে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পর শুনলো স্যার তখনও আসেননি। অপেক্ষা করতে লাগলো মিষ্টু। তার বাকি বন্ধুরা শহরেরই বিভিন্ন জায়গায় থাকে। কিন্তু তাকে তো ট্রেনে করে প্রায় পঁচিশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আসতে হয় তার গন্তব্যে! 'অপেক্ষা করবে, না চলে আসবে..' এইসব ভাবতে ভাবতে যখন সে চলে আসার মনস্থির করলো তখন দেখলো স্যার ঢুকছেন।

নির্দিষ্ট সময় থেকে ততক্ষণে এক ঘন্টা দেরি হয়ে গিয়েছে। স্যারের সামনে তো উঠে চলে আসা যায় না! তাই বাধ্য হয়ে সেদিনকার ক্লাসটা করতে হলো মিষ্টুকে। ক্লাস চলাকালীন একটুও মন বসাতে পারছিলো না সে। বারবার মনে হচ্ছিলো, কখন বাড়ি যাবে!

রুপাইনগর স্টেশনে যখন মিষ্টু নামলো তখন রাত সাড়ে নটা। তবে মিষ্টু ট্রেন থেকে একা নামলো না, সঙ্গে করে নিয়ে এলো মুষলধারে বৃষ্টি। অসময়ের বৃষ্টি, সঙ্গে ছাতা নেই। প্ল্যাটফর্মে ভাঙা শেডের তলায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে আরো পনেরো মিনিট কেটে গেলো। 'বাজারের রাস্তা দিয়ে এখন যদি সে রিকশা করে যায়, তাহলে সোয়া দশটার মধ্যে বাড়ি ঢুকে যেতে পারবে।' এই ভেবে ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে দেখলো মাত্র পাঁচ টাকা পড়ে রয়েছে। এই টাকায় তো রিক্সাওয়ালা দুবারও প্যাডেল মারবে না। সকালে বলা মায়ের কথাটা মনে পড়লো তার। এবার থেকে সে যেখানেই যাক, বেশি করে টাকা নিয়ে বেরোবে .. আজকের ভুল সে আর করবে না।

'ভাগ্যিস তার গন্তব্য বাড়ি! তাই বাড়িতে পৌঁছে রিকশাওয়ালাকে টাকা দিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু এখনো যদি সে স্টেশন থেকে নিচে না নামে, তাহলে আর রিকশাও পাবে বলে মনে হয় না।' এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে দ্রুত পায়ে ওভারব্রিজের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে মিষ্টু দেখলো .. স্টেশন চত্বরে একটাও রিকশা নেই। ততক্ষণে বৃষ্টি কমে গেলেও, ছাতা না থাকার দরুন সে কাকভেজা ভিজে গিয়েছে। উনিশ বছর বয়সের ভরা যুবতী স্তনবতী এবং গুরু নিতম্বিনী মিষ্টু ছোটবেলা থেকেই ভলাপচুয়াস ফিগারের অধিকারিণী। তাই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার ফলে তার পরনের সালোয়ার কামিজ দেহের সঙ্গে সেঁটে গিয়ে সেই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর উত্তেজক লাগছিলো তাকে।

মিষ্টুর মনে হলো এত রাতে বাজারের রাস্তা এবং হ্যালাপুকুরের পেছনের রাস্তা .. এই দুটোই তার কাছে সমানভাবে আনসেফ। বরং বাজারের মধ্যে দিয়ে গেলে বাড়ি পৌঁছতে পৌঁছতে তার আরও আধঘন্টা লেগে যাবে। তার থেকে ওই রাস্তাটা দিয়ে গেলে পনেরো মিনিটের মধ্যে পৌঁছাতে পারবে। অনেক ভেবেচিন্তে অবশেষে শর্টকাটটাই ধরলো মিষ্টু।

সন্ধ্যেবেলা থেকেই এই এলাকাটা কার্যত শুনশান হয়ে যায়। এখন ঘড়ির কাঁটা রাত দশটা অতিক্রম করে গিয়েছে। ল্যাম্পপোস্ট থাকলেও কারা যেন খুলে নিয়ে যায় আলোগুলো। জনমানবশূন্য রাস্তায় দুর্ভেদ্য অন্ধকারের বুকে আলোর উৎস বলতে শুধু মধ্য গগনের এক ফালি চাঁদ আর অগণিত নক্ষত্ররাজি। মাঝে মাঝে জমাট বাঁধা অন্ধকারের মতো বড় বড় গাছের সারির অস্তিত্ব বোঝা যাচ্ছে। চার পাশে শুধু অনন্ত অন্ধকার আর মৃত্যুপুরীর নিস্তব্ধতা। কখনো কখনো রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেদ করে ঝিঁঝিঁপোকার শব্দ আর প্যাঁচার ডাক ভেসে আসছে। এরকম এক ভয়াবহ পরিস্থিতির হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য মিষ্টু নিজের সমস্ত জীবনী শক্তিকে একত্রিত দ্রুতপায় হেঁটে চলেছে। তার এখন একটাই লক্ষ্য .. এখান থেকে কোনোমতে বেরিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তাটায় গিয়ে উঠবে।

এই গভীর অন্ধকারেও ডানপাশে পরিত্যক্ত গ্লাস ফ্যাক্টরির শেডের উপরের অংশটা চোখে পড়লো মিষ্টুর। ওটার পিছনেই তো আন্টি সোশ্যালদের আড্ডা .. কথাটা ভেবেই বুকটা কেঁপে করে উঠলো তার।

"গুরু, মালটাকে দেখেছো? শালা কি ফিগার মাইরি! মাগীর দুধ আর পোঁদটা দ্যাখো, যেন সব মাংস ওখানেই লেগেছে। অনেকদিনের উপোসী ছিলাম। আজ রাতটা জমে যাবে .." ফ্যাক্টরির বাউন্ডারি ভাঙা ফটকটার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কথাগুলো এলো তার কানে।

এরপর আরও কিছু অশ্লীল কথা ভেসে আসতে থাকলো তার কানে। সেই কথাগুলোর গুরুত্ব না দিয়ে দ্রুত পা চালাতে থাকলো মিষ্টু। হঠাৎ ওর সামনে পথ আগলে দাঁড়ালো তিনটে ছায়ামূর্তি। ওরা ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো মিষ্টুর দিকে। তীব্র আর্তনাদে প্রতিধ্বনিত হয়ে উঠলো পরিতক্ত গ্লাস ফ্যাক্টরির ক্যাম্পাসটা।

★★★★

পরেরদিন সকাল থেকেই খবরটা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। গ্লাস ফ্যাক্টরির শেডের পিছন দিকটায় লোহার ভাঙা জলশূন্য ট্যাঙ্কের ভিতর পাওয়া গেছে তিনজন যুবকের ছিন্নভিন্ন লাশ। রক্তে মাখামাখি হয়ে রয়েছে অত বড় ট্যাঙ্কটা। তিনটি লাশের মধ্যে একটা সনাতন বারুইয়ের, বাকি দুটোকে চিহ্নিত করা যায়নি। প্রত্যেকটি মৃতদেহের গলার নলি কাটা। পুলিশের অনুমান, কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেওয়া হয়েছে জায়গাটা। কিন্তু সেই ধারালো অস্ত্রটি আদতে কি, সেই সম্বন্ধে কোনো ধারণা করতে পারেনি পুলিশ।

এলাকাবাসী, মিডিয়া আর পুলিশে ছয়লাপ হয়ে রয়েছে জায়গাটা। রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরের প্রতি কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে। অথচ কেউ বুঝে উঠতে পারছে না, এরকম ভয়ঙ্কর সমাজবিরোধীদের এইরকম নৃশংসভাবে কে হত্যা করলো?

"ওঠ রে মা .. আর কত ঘুমাবি? ন'টা বেজে গেছে, সে খেয়াল আছে? কাল রাতে ফিরে তো কিছুই খেলি না। কতবার ডাকলাম, ঘরের দরজাও খুললি না। বললি শরীর ভালো লাগছে না। এখন উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে কিছু মুখে দে। কলেজে যাবি না আজকে?" বাবার ডাকে ঘুম ভাঙলো মিষ্টুর।

"উফ্, এখন জ্বালিও না তো, যাও এখান থেকে। আরেকটু ঘুমোতে দাও প্লিজ। শরীরটা এখনো ম্যাজম্যাজ করছে। আজ কলেজে সেরকম ইম্পরট্যান্ট কোনো ক্লাস নেই, তাই যাবো না।" কথাগুলো বলে বন্ধ দরজার বাইরে থেকে তার বাবাকে বিদায় করে খাটের উপর উঠে বসলো মিষ্টু।

গতকাল রাতের কথাগুলো মনে পড়ে গেলো মিষ্টুর। কাল রাতে যখন সে ফিরলো, ভাগ্যিস মা রান্নাঘরে ছিলো আর বাবা তাকে খুঁজতেই বাজারের দিকে গিয়েছিলো! তা না হলে বাড়িতে ঢোকার সময় ওইরকম রক্তমাখা পোশাকে তাকে বাড়ির লোক দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যেতো।

সদর দরজা খোলাই ছিলো আর জ্যোৎস্না দেবী রান্নাঘর থেকে বেরোনোর আগেই এক দৌড়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলো মিষ্টু। হাজার ডাকাডাকিতেও ঘর থেকে আর বের হয়নি সে। তারপর বাথরুমে ঢুকে রক্তমাখা সালোয়ার  কামিজ আর অন্তর্বাসগুলো সাবান জলে ভিজিয়ে দিয়েছিলো সে। মিষ্টু জানে রক্তের দাগ এত তাড়াতাড়ি যাবে না। কারণ পূর্বেও তো তার এই অভিজ্ঞতা হয়েছে! তাই আজ বিকেলে বাবা-মা মাসির বাড়িতে গেলে, সে একটা বাহানা করে বাড়িতে থেকে যাবে। ওরা চলে যাওয়ার পর আগেরদিন রাতের জামাকাপড় গুলো পুড়িয়ে কালো প্যাকেটে ভরে বড় রাস্তার মোড়ের ডাস্টবিনটায় ফেলে আসবে।

ওটা যদি কেউ পরে খুঁজেও পায়, তবুও পোড়া জামাকাপড় দেখে সন্দেহটা তার প্রতি যাবে না, এই ব্যাপারে নিশ্চিত মিষ্টু। কাল রাতের পর থেকে আরও একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে সে। গঙ্গাপুরের ওই ঘটনাটা হওয়ার পর থেকে অনেকদিন ধরে নিজের রক্তপিপাসু সত্ত্বাকে অন্তরালে রেখেও শেষ রক্ষা হলো না গতকাল রাতে। রুপাইনগরে আসার পর মানুষের রক্তের স্বাদ সে পেয়ে গেলো। তবু তাকে চেষ্টা করে যেতে হবে নিজের এই সত্ত্বাকে লুকিয়ে রাখার। তা না হলে যে মনুষ্যজাতির সমূহ বিপদ!

[Image: Images-3-1.jpg]



শুধুমাত্র মিষ্টুর রক্তপিপাসু সত্ত্বার বিষয়টি (শেষ প্যারাগ্রাফ) একটি জনপ্রিয় বিদেশি গল্পের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। যদিও এখানে স্থান, কাল, পাত্র এবং লেখনী, এমনকি ঘটনাবলী সম্পূর্ণ ভিন্ন। গল্পটি পড়ে জানাবেন আপনাদের কেমন লাগলো।

[Image: Animation-resize-gif-f3b601eb23d95beeb4e...911ac0.gif]


Like Reply
আচ্ছা, inspired  Big Grin

[Image: Images-2-2-1.jpg]

Like Reply
(29-08-2023, 10:39 PM)Somnaath Wrote:
আচ্ছা, inspired  Big Grin

কোনো বিখ্যাত উপন্যাস বা কাহিনী থেকে ইনস্পিরেশন নিয়ে লেখার বিষয়টা বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের বিন্দিপিসি ('বিন্দিপিসির গোয়েন্দাগিরি') এবং প্রতুলচন্দ্র গুপ্তের সদু ঠাকুমা ('ঠাকুমার গোয়েন্দাগিরি') যে মিস মার্পেলের আদলে গড়ে উঠেছে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? নাকি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ঝিন্দের বন্দী Anthony Hope রচিত The prisoner of Zenda নভেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? লর্ড লিটন ১৮৩৪ সালে দ্য লাস্ট ডেজ অব পম্পেই নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ছিলো একজন অন্ধ ফুল বিক্রয়কারী নারী নিডিয়া। এই চরিত্রটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস রজনী। জানো কি এগুলো? আমার ধারণা জানো না। যাই হোক, এরকম হাজার হাজার নিদর্শন রয়েছে। লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে। 
আমি তো সেই তুলনায় এদের নখের যোগ্য তো নয়ই, এদের পায়ের ধুলোও নয়। দশবার জন্ম নিলেও কোনোদিন এদের ত্রিসীমানায় আসতে পারবো না আমি। তাই আমার অনুপ্রাণিত হয়ে লেখার মধ্যে দাঁত ক্যালানোর কিছু নেই। অন্য কোনো উপন্যাস থেকে  ভাবনা এবং চরিত্র নিলেও তার মধ্যে তুমি নিজে কতটা নতুনভাবে রূপদান করতে পারছো তোমার নতুন সৃষ্টিতে, এটাই আসল বিষয়।
[+] 6 users Like Bumba_1's post
Like Reply
কচি সোনামনি দেখলেই ডান্ডাটা নেচে ওঠে
ইচ্ছে করে একটু ছুঁয়ে দেখার ওই গতরটা উফফফফ চাবুক ফিগার
গরম গরম দুটো রসালো ডাব তারওপর মারকাটারি রূপ
ডান্ডাটা কিছুতেই শান্ত হয়না যতক্ষণ না মালটাকে চেখে দেখছে
অন্য ডান্ডা গুলোরও ওই একই হালত। শালা সব জিগরি ভাই
সকলে মিলে আড্ডায় তুলে আনলেই হলো। অমন জিসম তো মরদ দের মজা দেবার জন্যই সৃষ্টি।

মেয়েদের জন্ম শালা পুরুষদের এন্টারটেইন করতে। নীল ছবিতে যেমন মাগি গুলো গোলাম হয়ে মদ্দার ওপর লাফালাফি করে অমন যে কেন রিয়েলিটির মাল গুলো হয়না কে জানে?

বাঁড়া মাথা গরম করে দেয়! মটকা গরম হয়ে গেলে আবার ঠিক ভুল মাথায় আসেনা। তখন শালা ওই ফুটোতে নিজেদের ডান্ডার বদলে রড ঢুকিয়ে দেবার ইচ্ছে হয়। মাই গুলোর লোভ বেড়ে যায়। উফফফফফ শান্ত বডিটা দেখলে পুরকি জাগে বহুত।


- ওপরের লাইন গুলো মেনে চলা পিশাচদের থেকে বোধহয়....... রক্তপিপাসু ডাইনি হওয়া কিছুটা হলেও ভালো। তাই নয় কি?

লাইন গুলো খুবই ব্রুটাল ও গ্রূসাম। দুঃখিত তার জন্য কিন্তু অন্ধকারের জগতে এটাই সত্যি।
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply
(29-08-2023, 10:57 PM)Bumba_1 Wrote:
কোনো বিখ্যাত উপন্যাস বা কাহিনী থেকে ইনস্পিরেশন নিয়ে লেখার বিষয়টা বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের বিন্দিপিসি ('বিন্দিপিসির গোয়েন্দাগিরি') এবং প্রতুলচন্দ্র গুপ্তের সদু ঠাকুমা ('ঠাকুমার গোয়েন্দাগিরি') যে মিস মার্পেলের আদলে গড়ে উঠেছে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? নাকি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ঝিন্দের বন্দী Anthony Hope রচিত The prisoner of Zenda নভেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? লর্ড লিটন ১৮৩৪ সালে দ্য লাস্ট ডেজ অব পম্পেই নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ছিলো একজন অন্ধ ফুল বিক্রয়কারী নারী নিডিয়া। এই চরিত্রটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস রজনী। জানো কি এগুলো? আমার ধারণা জানো না। যাই হোক, এরকম হাজার হাজার নিদর্শন রয়েছে। লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে। 
আমি তো সেই তুলনায় এদের নখের যোগ্য তো নয়ই, এদের পায়ের ধুলোও নয়। দশবার জন্ম নিলেও কোনোদিন এদের ত্রিসীমানায় আসতে পারবো না আমি। তাই আমার অনুপ্রাণিত হয়ে লেখার মধ্যে দাঁত ক্যালানোর কিছু নেই। অন্য কোনো উপন্যাস থেকে  ভাবনা এবং চরিত্র নিলেও তার মধ্যে তুমি নিজে কতটা নতুনভাবে রূপদান করতে পারছো তোমার নতুন সৃষ্টিতে, এটাই আসল বিষয়।

সহমত। লেখক হিসেবে নিজের মস্তিস্ক প্রসূত আইডিয়া গুলোয় যে একমাত্র মূল্যবান হবে তার কোনো কথা নেই। বাহ্যিক সোর্স থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে যদি সম্পূর্ণ নিজের মতো করে একেবারে নতুন রূপে একটা কাহিনী সৃষ্টি করা যায় তবে সেটাও ততটাই মূল্যবান।

হ্যা হুবহু টুকলিতে নিজস্ব বলে কিছু থাকেনা কিন্তু উপরের বর্ণিত মানুষ গুলো অন্যান্য বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের গল্প ও চরিত্র সৃষ্টি করেছেন যারা পুরো দস্তুর বাঙালি আর তাদের হাবভাব কথা বার্তা ও চিন্তাধারা পুরো বাঙালিদের মতন। তাইতো মাইক্রফ্ট হোমস হয়ে যান আমাদের সিধু জ্যাঠা।
[+] 1 user Likes Baban's post
Like Reply
(29-08-2023, 10:57 PM)Bumba_1 Wrote:
কোনো বিখ্যাত উপন্যাস বা কাহিনী থেকে ইনস্পিরেশন নিয়ে লেখার বিষয়টা বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের বিন্দিপিসি ('বিন্দিপিসির গোয়েন্দাগিরি') এবং প্রতুলচন্দ্র গুপ্তের সদু ঠাকুমা ('ঠাকুমার গোয়েন্দাগিরি') যে মিস মার্পেলের আদলে গড়ে উঠেছে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? নাকি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ঝিন্দের বন্দী Anthony Hope রচিত The prisoner of Zenda নভেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? লর্ড লিটন ১৮৩৪ সালে দ্য লাস্ট ডেজ অব পম্পেই নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ছিলো একজন অন্ধ ফুল বিক্রয়কারী নারী নিডিয়া। এই চরিত্রটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস রজনী। জানো কি এগুলো? আমার ধারণা জানো না। যাই হোক, এরকম হাজার হাজার নিদর্শন রয়েছে। লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে। 
আমি তো সেই তুলনায় এদের নখের যোগ্য তো নয়ই, এদের পায়ের ধুলোও নয়। দশবার জন্ম নিলেও কোনোদিন এদের ত্রিসীমানায় আসতে পারবো না আমি। তাই আমার অনুপ্রাণিত হয়ে লেখার মধ্যে দাঁত ক্যালানোর কিছু নেই। অন্য কোনো উপন্যাস থেকে  ভাবনা এবং চরিত্র নিলেও তার মধ্যে তুমি নিজে কতটা নতুনভাবে রূপদান করতে পারছো তোমার নতুন সৃষ্টিতে, এটাই আসল বিষয়।

বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যত ভৌতিক বা গোয়েন্দা গল্প লেখা হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি গল্পের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। কিছু ক্ষেত্রে সেটা লেখক নিজেই মুখবন্ধে স্বীকার করেছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে বই প্রকাশনার সময় প্রকাশক উল্লেখ করে দিয়েছে। এবং পরবর্তীকালে সেই গল্পগুলো দর্শকদের মধ্যে দারুন ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এটা নতুন কথা কিছু নয়। 
তোমার এই গল্পটা সত্যিই রোমহর্ষক। আমি তো প্রথমে ভাবলাম, এই মিষ্টুও বুঝি শেষ হয়ে গেল ওই দুষ্কৃতীদের হাতে। তারপর শেষের দিকটা পড়ে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। জানোয়ারগুলোর ওইরকম পরিণতিই হওয়া দরকার। তোমার এই গল্পটা কিন্তু  আমার ভৌতিক গল্প সংকলন থ্রেডের জন্য বুক করে রাখলাম with your permission 

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 1 user Likes Sanjay Sen's post
Like Reply
(30-08-2023, 12:40 AM)Baban Wrote: কচি সোনামনি দেখলেই ডান্ডাটা নেচে ওঠে
ইচ্ছে করে একটু ছুঁয়ে দেখার ওই গতরটা উফফফফ চাবুক ফিগার
গরম গরম দুটো রসালো ডাব তারওপর মারকাটারি রূপ
ডান্ডাটা কিছুতেই শান্ত হয়না যতক্ষণ না মালটাকে চেখে দেখছে
অন্য ডান্ডা গুলোরও ওই একই হালত। শালা সব জিগরি ভাই
সকলে মিলে আড্ডায় তুলে আনলেই হলো। অমন জিসম তো মরদ দের মজা দেবার জন্যই  সৃষ্টি।

মেয়েদের জন্ম শালা পুরুষদের এন্টারটেইন করতে। নীল ছবিতে যেমন মাগি গুলো গোলাম হয়ে মদ্দার ওপর লাফালাফি করে অমন যে কেন রিয়েলিটির মাল গুলো হয়না কে জানে?

বাঁড়া মাথা গরম করে দেয়! মটকা গরম হয়ে গেলে আবার ঠিক ভুল মাথায় আসেনা। তখন শালা ওই ফুটোতে নিজেদের ডান্ডার বদলে রড ঢুকিয়ে দেবার ইচ্ছে হয়। মাই গুলোর লোভ বেড়ে যায়। উফফফফফ শান্ত বডিটা দেখলে পুরকি জাগে বহুত।


- ওপরের লাইন গুলো মেনে চলা পিশাচদের থেকে বোধহয়....... রক্তপিপাসু ডাইনি হওয়া কিছুটা হলেও ভালো। তাই নয় কি?

লাইন গুলো খুবই ব্রুটাল ও গ্রূসাম। দুঃখিত তার জন্য কিন্তু অন্ধকারের জগতে এটাই সত্যি।

মনে হচ্ছে বাবান ভাই ভীষণ রেগে গেছে। এরকম ঘটনা আমাদের চারপাশে প্রায়শই ঘটে, এ কথা একশো শতাংশ সত্যি। তবে এটা একটা গল্প, তাই cool down ভাই cool down  Namaskar  

(30-08-2023, 09:17 AM)Sanjay Sen Wrote: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে যত ভৌতিক বা গোয়েন্দা গল্প লেখা হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি গল্পের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা। কিছু ক্ষেত্রে সেটা লেখক নিজেই মুখবন্ধে স্বীকার করেছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে বই প্রকাশনার সময় প্রকাশক উল্লেখ করে দিয়েছে। এবং পরবর্তীকালে সেই গল্পগুলো দর্শকদের মধ্যে দারুন ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। এটা নতুন কথা কিছু নয়। 
তোমার এই গল্পটা সত্যিই রোমহর্ষক। আমি তো প্রথমে ভাবলাম, এই মিষ্টুও বুঝি শেষ হয়ে গেল ওই দুষ্কৃতীদের হাতে। তারপর শেষের দিকটা পড়ে মনটা খুশিতে ভরে উঠলো। জানোয়ারগুলোর ওইরকম পরিণতিই হওয়া দরকার। তোমার এই গল্পটা কিন্তু  আমার ভৌতিক গল্প সংকলন থ্রেডের জন্য বুক করে রাখলাম with your permission 

Permission granted  Heart Heart
Like Reply
(29-08-2023, 10:57 PM)Bumba_1 Wrote: কোনো বিখ্যাত উপন্যাস বা কাহিনী থেকে ইনস্পিরেশন নিয়ে লেখার বিষয়টা বহুকাল আগে থেকে চলে আসছে। সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের বিন্দিপিসি ('বিন্দিপিসির গোয়েন্দাগিরি') এবং প্রতুলচন্দ্র গুপ্তের সদু ঠাকুমা ('ঠাকুমার গোয়েন্দাগিরি') যে মিস মার্পেলের আদলে গড়ে উঠেছে, এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? নাকি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ঝিন্দের বন্দী Anthony Hope রচিত The prisoner of Zenda নভেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা, এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে? লর্ড লিটন ১৮৩৪ সালে দ্য লাস্ট ডেজ অব পম্পেই নামে একটি উপন্যাস লেখেন। এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র ছিলো একজন অন্ধ ফুল বিক্রয়কারী নারী নিডিয়া। এই চরিত্রটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিলেন তার বিখ্যাত উপন্যাস রজনী। জানো কি এগুলো? আমার ধারণা জানো না। যাই হোক, এরকম হাজার হাজার নিদর্শন রয়েছে। লিখতে গেলে রাত কাবার হয়ে যাবে। 
আমি তো সেই তুলনায় এদের নখের যোগ্য তো নয়ই, এদের পায়ের ধুলোও নয়। দশবার জন্ম নিলেও কোনোদিন এদের ত্রিসীমানায় আসতে পারবো না আমি। তাই আমার অনুপ্রাণিত হয়ে লেখার মধ্যে দাঁত ক্যালানোর কিছু নেই। অন্য কোনো উপন্যাস থেকে  ভাবনা এবং চরিত্র নিলেও তার মধ্যে তুমি নিজে কতটা নতুনভাবে রূপদান করতে পারছো তোমার নতুন সৃষ্টিতে, এটাই আসল বিষয়।

এসব আপনি পড়েছেন ? অনেক নতুন বইয়ের নাম জানতে পারলাম । লাস্ট ডেজ অব পম্পেই বলতে এখানে ইতালির হারকুলিয়াম পম্পেই এর কথা বলা হচ্ছে ?

❤️❤️❤️
[Image: 20220401-214720.png]
[+] 1 user Likes Bichitro's post
Like Reply
(30-08-2023, 10:32 AM)Bichitro Wrote:  লাস্ট ডেজ অব পম্পেই বলতে এখানে ইতালির হারকুলিয়াম পম্পেই এর কথা বলা হচ্ছে ?

❤️❤️❤️

হ্যাঁ .. যদিও এই উপন্যাসের নায়িকা আইওন বা আয়োন (যে যেরকম উচ্চারণ করবে)। তবে অন্ধ ফুলবিক্রেতা নিডিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছে। যে হয়তো কোনো সময় উপন্যাসের নায়িকাকেও ছাপিয়ে যায়। অনেকটা আমার লেখা উপন্যাস গোলকধাঁধায় গোগোল এর টগরের মতো। ভুল বললাম, মানে টগরই নিডিয়ার মতো।
Like Reply
clps   clps
[+] 1 user Likes Chandan's post
Like Reply
Mishtu is a vampire I guess? Narration of the story is too good, hard to believe this kind of main stream writing can be found in a adult story site portal. What is more amazing is not just the way of presenting the story but also a deep grip over Bengali Spelling. Kudos!
Warm Greetings
[Image: 20230912-130230.png]
Like Reply
(30-08-2023, 05:16 PM)Chandan Wrote: clps   clps

thanks   thanks  

(30-08-2023, 08:22 PM)দত্তাত্রেয় বন্দ্যোপাধ্যায় Wrote: Mishtu is a vampire I guess? Narration of the story is too good, hard to believe this kind of main stream writing can be found in a adult story site portal. What is more amazing is not just the way of presenting the story but also a deep grip over Bengali Spelling. Kudos!
Warm Greetings

Thank you very much  thanks yes মিষ্টু is a vampire

if you like this story of mine, then I hope you will like the rest of my non-erotic stories too. Links are given in the Table of Index, where you can read the stories.
Like Reply
[Image: 34578df2b3a31c8e64cb53fe615d3e11.png]

congrats Congratulations  congrats

[Image: Shocked-Open-Asianpiedstarling-size-restricted.gif]

[+] 4 users Like Sanjay Sen's post
Like Reply
(01-09-2023, 08:51 AM)Sanjay Sen Wrote:
[Image: 34578df2b3a31c8e64cb53fe615d3e11.png]

congrats Congratulations  congrats

[Image: Thank-you-PNG128.png]

আমার এরোটিকা থ্রেডগুলোর মধ্যে কোনোটা ২ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, কোনোটা ৩ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, কোনোটা ৪ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, আবার কোনোটা ৫ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো। কিন্তু এসব নিয়ে আমি কোনোদিনই আদিখ্যেতা বা হ্যাংলামো করিনি। কারণ, প্রথমতঃ ওগুলো আমার কাছে স্বাভাবিক। আমি যৌন রসাত্মক গল্প লিখছি, আর লোকজন সেটা পড়বে না, এটা হতেই পারে না। আর দ্বিতীয়তঃ গল্পগুলো আমি নিজেকে আনন্দ দেওয়ার জন্য বা নিজের মনের পুষ্টির জন্য লিখিনা/লিখিনি কোনোদিন। কিন্তু এই সৃষ্টি থ্রেডটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। এই থ্রেড যখন খুলেছিলাম, তখন শুধুমাত্র নিজের জন্যই খুলেছিলাম। নিজের ভালোলাগার বিষয়, কিছু পুরনো স্মৃতি, কিছু গল্প, কিছু কবিতা, কিছু অঙ্কন, এমনকি নাটক পর্যন্ত লিখেছি এখানে। সব থেকে বড় কথা কিশোর সাহিত্যের উপর বেশ কিছু গল্প এবং কবিতা আছে আমার এখানে। এইরকম একটা out & out এডাল্ট সাইটে এই থ্রেড যে কয়েকদিনের মধ্যেই হারিয়ে যাবে, সেটাই ভেবেছিলাম। আজ সে এক লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করেছে। আমি মন থেকে খুশি হয়েছি এবং এটা বুঝতে পেরেছি .. বড়দের হোক কিংবা বাচ্চাদের, লেখা ভালো হলে লোকে তা পড়বেই।
[+] 4 users Like Bumba_1's post
Like Reply
(01-09-2023, 02:09 PM)Bumba_1 Wrote:
[Image: Thank-you-PNG128.png]

আমার এরোটিকা থ্রেডগুলোর মধ্যে কোনোটা ২ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, কোনোটা ৩ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, কোনোটা ৪ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো, আবার কোনোটা ৫ লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করতে চললো। কিন্তু এসব নিয়ে আমি কোনোদিনই আদিখ্যেতা বা হ্যাংলামো করিনি। কারণ, প্রথমতঃ ওগুলো আমার কাছে স্বাভাবিক। আমি যৌন রসাত্মক গল্প লিখছি, আর লোকজন সেটা পড়বে না, এটা হতেই পারে না। আর দ্বিতীয়তঃ গল্পগুলো আমি নিজেকে আনন্দ দেওয়ার জন্য বা নিজের মনের পুষ্টির জন্য লিখিনা/লিখিনি কোনোদিন। কিন্তু এই সৃষ্টি থ্রেডটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। এই থ্রেড যখন খুলেছিলাম, তখন শুধুমাত্র নিজের জন্যই খুলেছিলাম। নিজের ভালোলাগার বিষয়, কিছু পুরনো স্মৃতি, কিছু গল্প, কিছু কবিতা, কিছু অঙ্কন, এমনকি নাটক পর্যন্ত লিখেছি এখানে। সব থেকে বড় কথা কিশোর সাহিত্যের উপর বেশ কিছু গল্প এবং কবিতা আছে আমার এখানে। এইরকম একটা out & out এডাল্ট সাইটে এই থ্রেড যে কয়েকদিনের মধ্যেই হারিয়ে যাবে, সেটাই ভেবেছিলাম। আজ সে এক লক্ষ ভিউজ অতিক্রম করেছে। আমি মন থেকে খুশি হয়েছি এবং এটা বুঝতে পেরেছি .. বড়দের হোক কিংবা বাচ্চাদের, লেখা ভালো হলে লোকে তা পড়বেই।

এই থ্রেডের সাফল্যে আমি দারুন খুশি। ♥️

সেই প্রথম সাহস করে এমন জায়গায় ছোটদের জন্য গল্প লিখেছিলাম। অচেনা অতিথি বলে। জানিনা কেন কিন্তু লিখেছিলাম। দেখলাম পাঠক কিন্তু সেটাও পড়লো। হয়তো আমি কি এমন আলাদা সৃষ্টি করেছি সেটা জানতে। কামউত্তেজক গপ্পের বাইরেও কি এমন লিখেছে সেটা দেখতে। তারপর থেকে বন্ধু, ভূমি, দূরত্ব, ও খোকন, কাগজের নৌকা, তুমি আছো এতো কাছে তাই (যেটা তোমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিলো) আরও এসব লেখার পাগলামি শুরু। 

তারপরে এলে একদিন তুমিও। একঝাঁক দুর্দান্ত সব গল্পের ঝুলি নিয়ে। যার কিছু তোমার ছোটবেলার, কিছু মনের কথার আর কিছু সমাজকে আয়না দেখাতে। এমন কি নাটক পর্যন্ত। তোমার  এই থ্রেডও পাঠকের মন কাড়তে সফল হলো। একের পর এক নানান সব দারুন লেখা। এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমি কম নাকি? পড়তে পড়তে ডুবে যেতে হয়। প্রত্যেকটা সৃষ্টি অনবদ্য ♥️

আমার জানা নেই আমি আর তুমি ছাড়া এই পাগলামি আর কেউ করেছে কিনা। এখানে কিনা ছোটদের গপ্পো লিখছি। তবে এমন পাগলামির জন্য আমরা গর্বিত  Big Grin

তখন আমার মনে হয়েছিল এগুলোকে নন ইরোটিক না বলে আলাদা নাম দিলে কেমন হয়? সারিটকে রিকোয়েস্ট করে তখন নতুন কয়েকটা প্রেফিক্স যোগ করাতে বললাম। কারণ এগুলো আমাদের নিজেদের কাছে সবচেয়ে আগে স্পেশাল।

এটার নাম দিলাম রাইটার্স স্পেশাল। সারিট এরও পছন্দ হলো নামটা। সবই তো তোমার জানা। আজ এতদিন পরেও যখন আমি দেখি সত্যি এই স্পেশাল লেখা গুলো নিজের দাম পেলো , এতো এতো ভালোবাসা পেলো ও পাচ্ছে তখন মনে হলো গসিপির জন্য, পাঠকদের জন্য কিছুতো করতে পেরেছি। ওটাই অনেক। 

একদমই ঠিক বলেছো। পানু গল্প অনেক আসতে থাকবে। এটা তো তারই সাইট। কিন্তু তার মাঝেও আমাদের মতো কিছু পাগলা যেন পাগলামি চালিয়ে যায়। আসতে থাকুক তোমার আরও সব সৃষ্টি। যা ভিন্ন হয়েও এক আর এক হয়েও কত ভিন্ন। লিখতে থাকো আরও আরও সব স্পেশাল গল্প। সৃষ্টিতে ভোরে উঠুক এই থ্রেড ❤

অনেক অনেক অভিনন্দন।  clps
[+] 2 users Like Baban's post
Like Reply




Users browsing this thread: 1 Guest(s)