জাফর ওয়াজেদ: বঙ্গবন্ধুর গায়ে ১৮টি বুলেট লেগেছিল। একটি গুলি তলপেট দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৯টি গুলি বুকের একটু নিচ দিয়ে চক্রাকারে ঢুকেছে তবে বের হয়নি। বাঁ হাতের তর্জনীতে একটি গুলি লাগে, আঙুলটি প্রায় ছিন্ন ও থেতলে যায়। দুই বাহুর উপরিভাগে দুটি গুলি, আরেকটি সম্ভবত ডান হাতের তালুতে লাগে। দুই পায়ে চারটি মিলিয়ে মোট ১৮টি বুলেট তার শরীর ভেদ করেছিল। তাছাড়া দুপায়ের গোড়ালির দুটি রগই কাটা ছিল।
বঙ্গবন্ধুর মুখে কোনো গুলির চিহ্ন ছিলো না। মুখমন্ডল আগের মতো দৃঢ়তা নিয়েই ছিলো। পরনে চেক লুঙ্গি, গায়ে গেঞ্জি আর সাদা পাঞ্জাবি ছিল। ১৫ আগস্টের পরদিন লন্ডনের বিখ্যাত পত্রিকা দ্যা ডেইলি টেলিগ্রাম একটি শিরোনাম করেছিলো ‘এই করুণ মৃত্যুই যদি মুজিবের ভাগ্যে ছিলো তাহলে বাংলাদেশ সৃষ্টির কোন প্রয়োজন ছিলো না’।
এই প্রজন্মকে বলি, কালো ফ্রেমের চশমা পড়া হিমালয়টিকে ভালো করে অনুধাবন করতে। তার জীবনের ১৩টা বছর জেলে কেটেছে শুধুই বাঙালি জাতির মুক্তির জন্যে। তোমাদের কোন দল করতে হবে না, একাত্তরে যেতে হবে না। কিন্তু তোমাদের মুজিবে এসে থামতে হবে। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটির দিকে গভীরভাবে তাকাতে হবে। কারণ এই বাড়িটিই বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু। লেখক: মহাপরিচালক, পিআইবি
আপনার মতামত লিখুন :