মৌর্য যুগের প্রসিদ্ধ পণ্ডিত চাণক্য কৌটিল্য বিষ্ণুগুপ্ত নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে অর্থনীতিবিদ, দার্শনিক, কূটনীতিবিদ ও শিক্ষক। তিনি অর্থশাস্ত্র ও চাণক্য নীতি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। প্রথম মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তকে সাধারণ অবস্থা থেরে ক্ষমতার শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রখর বাস্তববাদী চাণক্য জীবনের নানা দিক সম্পর্কে অনেক পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। এত বছর পরেও সেই সব পরামর্শ আজও আমাদের জীবনে কার্যকরী। আজ আমরা দেখে নেব চাণক্যের দেওয়া এমনই কিছু উপদেশ।
চাণক্যের পরামর্শ
চাণক্য বলেছেন যে এমন কিছু কিছু বিষয় আছে, যা সৌভাগ্য ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। যতই পরিশ্রম করা হোক বা যতই চেষ্টা করা হোক ভাগ্যের জোর ছাড়া এগুলি লাভ করা সম্ভব নয় কারোর পক্ষে। চাণক্য বলেন যখন কোনও শিশু মাতৃগর্ভে বড় হয়ে ওঠে তখন তাঁর ভাগ্যে পাঁচটি জিনিস লেখা থাকে।
Chanakya Niti: জীবনে প্রচুর সাফল্য পান এই মানুষরা, শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করেন তিনি! জানাচ্ছেন চাণক্যআয়ু
চাণক্য জানিয়েছেন যে মানুষের আয়ু তার জন্মের সময়ই নির্ধারিত হয়ে যায়। মাতৃগর্ভে থাকাকালীন ঠিক হয়ে যায় শিশুটি কতদিন এই পৃথিবীতে কাটাবে। দীর্ঘায়ু কারোর পক্ষেই নিজে থেকে অর্জন করা সম্ভব নয়। যে ভাগ্যে যতটা আয়ু নিয়ে আসে, ঠিক ততদিনই এই পৃথিবীতে থাকতে পারে। এই দুনিয়ার কারোর পক্ষেই নিজের আয়ু কমানো বা বাড়ানো সম্ভব নয়।
নিয়তি
চাণক্য আরও বলেছেন যে কোনও মানুষ যে কাজই করুন না কেন, তার নিয়তি কী হবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে। হাজার পরিশ্রম করেও নিজের নিয়তি বদলানো যায় না। আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের নিয়তি সঙ্গে নিয়েই জন্মায়। কারোর নিয়তিতে যদি সৌভাগ্য ও সাফল্য থাকে, তবেই সেগুলি ও ব্যক্তি পেতে পারে।
শিক্ষা
শিক্ষাও হল এমন একটি বিষয় যা ভাগ্য ছাড়া সঠিক ভাবে অর্জন করা যায় না। ভাগ্যে যদি শিক্ষালাভ না থাকে, তাহলে জোর করে বা টাকা খরচ করেই প্রকৃত শিক্ষা লাভ করা যায় না। কারণ শিক্ষা মানে তা শুধু ডিগ্রিগত শিক্ষা নয়, শিক্ষা হল ভেতরের শিক্ষা। টাকা ছড়ালেই সেই শিক্ষা অর্জন করা যায় না।
স্বাস্থ্য
সুস্বাস্থ্য প্রত্যেক মানুষের জন্যই জরুরি। স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে, তাহলে জীবনে ভালো ভাবে বাঁচাই সম্ভব নয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কেমন থাকবে তা আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে।