Hardik Pandya, IPL 2024: প্রায় তিনগুন টাকায় MIতে, স্টার্ক নন IPLএর সবচেয়ে দামি হার্দিক পান্ডিয়া!

IPL 2024, Mumbai Indians: ধরা যাক, গুজরাট টাইটান্স হার্দিক পান্ডিয়াকে ১৫ কোটি টাকায় রিটেন করেছিল। সহজ হিসেবে, হার্দিক পান্ডিয়াকে নিতে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এরপর ট্রান্সফার ফিও রয়েছে। সেটা কিন্তু পার্সের টাকার বাইরে। এর কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। ট্রান্সফার ফি-র একটা বড় অংশ সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারও পায়। সেটা কিন্তু প্রকাশ্যে আসে না। দু-দল এবং প্লেয়ারের মধ্যেই সেই তথ্য সীমাবদ্ধ থাকে। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিতে যে ভাবে কোমর বেঁধে নেমেছিল, ট্রান্সফার অঙ্কটা যে বিশাল হতে পারে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

Hardik Pandya, IPL 2024: প্রায় তিনগুন টাকায় MIতে, স্টার্ক নন IPLএর সবচেয়ে দামি হার্দিক পান্ডিয়া!
Image Credit source: X, FACEBOOK
Follow Us:
| Updated on: Dec 25, 2023 | 4:25 PM

কলকাতা: অজি পেসার মিচেল স্টার্কই কি আইপিএলের সবচেয়ে দামি প্লেয়ার? এখনও অবধি তাই বলা যায়। আগামী আইপিএলের মিনি অকশনে রেকর্ড গড়েছেন মিচেল স্টার্ক। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিলেন স্যাম কারান। গত বারের নিলামে তাঁকে ১৮.৫ কোটিতে নিয়েছিল পঞ্জাব কিংস। এ বার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। প্যাট কামিন্সকে ২০.৫ কোটি টাকায় নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই রেকর্ডও খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বলা যায়, একটা ‘ওভার’ শেষ হওয়ার আগেই সেই রেকর্ড অতীত। সৌজন্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মিচেল স্টার্ক। হঠাৎ প্রশ্ন উঠছে, মিচেল স্টার্কই কি সবচেয়ে দামি? কেন এমন মনে হচ্ছে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

আইপিএলের মিনি অকশনে গত কয়েক বছর খেলেননি স্টার্ক। এ বার ভারতে বিশ্বকাপ জিতে ফের আইপিএলে নাম নথিভূক্ত করেন। তাঁকে নিয়ে এমন ঝড় উঠবে, সেটা অবশ্য প্রত্যাশা করেননি। শুরুতে লড়াইটা ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে। হঠাৎই প্রবেশ কলকাতা নাইট রাইডার্সের। একটা সময় পর হাত তুলে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। কলকাতা নাইট রাইডার্স নাছোড়বান্দা। অবশেষে ২৪.৭৫ কোটি টাকায় তাঁকে নেয় কেকেআর। আইপিএলের ইতিহাসে এটিই সর্বাধিক। কিন্তু আরও একটা তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। হার্দিক পান্ডিয়া নাকি স্টার্কের চেয়েও দামি!

গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এমনকি রিটেনশন লিস্টেও তাঁর নাম ছিল। রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই পরিস্থিতি পুরো বদলে যায়। ট্রেডিংয়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে নেয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএল ট্রেডিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দল সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারকে যে টাকায় রিটেন করে, অল ক্যাশ ডিল-এ সেই টাকাতেই নেয়। যে দল নিচ্ছে তাদের পার্স থেকে সেই টাকা বিয়োগও হয়। এবং নিয়ম মেনে আইপিএলের বেঁধে দেওয়া পার্সের সীমিত টাকা থেকেই নিতে হয়। তেমনই যে দল ছাড়ছে, সেই দলের পার্সে টাকা যোগ হয়ে যায়। এরপরও একটা শর্ত থাকে।

ধরা যাক, গুজরাট টাইটান্স হার্দিক পান্ডিয়াকে ১৫ কোটি টাকায় রিটেন করেছিল। সহজ হিসেবে, হার্দিক পান্ডিয়াকে নিতে ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এরপর ট্রান্সফার ফিও রয়েছে। সেটা কিন্তু পার্সের টাকার বাইরে। এর কোনও সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। ট্রান্সফার ফি-র একটা বড় অংশ সংশ্লিষ্ট প্লেয়ারও পায়। সেটা কিন্তু প্রকাশ্যে আসে না। দু-দল এবং প্লেয়ারের মধ্যেই সেই তথ্য সীমাবদ্ধ থাকে। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিতে যে ভাবে কোমর বেঁধে নেমেছিল, ট্রান্সফার অঙ্কটা যে বিশাল হতে পারে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।

সূত্রের খবর, হার্দিকের জন্য টাইটান্সকে ১০০ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স! এটা কিন্তু অসম্ভব নয়। এই অঙ্কের ৫০ শতাংশও যদি হার্দিক পান্ডিয়া নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর মোট দল দাঁড়াবে ৫০ কোটি ও প্রথমে যে ১৫ কোটির অঙ্ক ধরা হয়েছিল, সেই মিলিয়ে ৬৫ কোটি টাকা! হার্দিককে ট্রান্সফার ফির কত শতাংশ দেওয়া হয়েছে, সেটা প্রকাশ্যে আসেনি। সুতরাং, নিশ্চিত করে মোট অঙ্কটা বলা যায় না। মোদ্দা কথা, মিচেল স্টার্কই সবচেয়ে দামি, এটা কিন্তু পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যায় না।